মধুবন চক্রবর্তী
সাঁকোটা ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে সেই ব্রম্মপুত্রের তলদেশ পর্যন্ত। সাবওয়ের অন্ধকার ভেঙে ভেঙে স্রোতস্বিনী স্বপ্নগুলো, সাঁকোর উপর দিয়ে মেতেছে সারারাত। পায়ে-পায়ে রাতভর, ক্লান্ত শরীরে। নিভে যাওয়া বিকেলের রোদ মেখেছে সাঁকোর কাদামাটি মাখা শরীর মন। সূর্যমুখী আলোর সুধা পান করে সাঁকোর ওষ্ঠ যুগল হয়েছে বাদামী। উজাড় করে দিয়েছে পুবের আকাশ। এক ধূসর বসতি উদযাপন গোটা সাঁকোর শরীর জুড়ে। সাপের মতো এঁকেবেঁকে এগিয়ে চলেছে সংসারl অন্ধকার গর্ভের তলদেশ পর্যন্ত বাতাসে ভেসে আসে মৈথুনের আঁশটে গন্ধ। ভেসে চলে অভিমান অনুরাগ অনুতাপ। জীবনের ভারে ন্যুব্জ সাঁকোটা দুলছে। বছর কুড়ি পরে এভাবেই সন্ধ্যা নামবে সাঁকোর বুকে। রাত্রি নামবে গভীরে। আধুনিক কংক্রিট সভ্যতার দাপটে একদিন হারিয়ে যাবে, ব্রম্মপুত্রের তলদেশে। হারিয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র সভ্যতার নিদর্শন কি জেগে উঠবে একদিন?